মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (২৬ মোর্দাদ ১৪০২)
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ২৬ মোরদাদ এ দিনে ১৯৯০ সালের ১৭ আগস্ট ইরাকের তদানীন্তন বাথিস্ট সাদ্দাম সরকার কুয়েত দখলের পর ইরানের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইরানী যুদ্ধ বন্দীদের মুক্তি দেয়। মুক্তিপ্রাপ্ত ইরানী যুদ্ধবন্দীদের ( অযদেগন ) প্রথম দল ২৬ মোরদাদ, ১৩৬৯ ফার্সী মোতাবেক ১৭ আগস্ট ১৯৯০ সালে ইরানে প্রবেশ করে এবং ইরানী জনগণ তাদের প্রাণঢালা উষ্ণ সম্বর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় ও বরণ করে। সেই ঐতিহাসিক ক্ষণ ও মূহুর্তের ভিডিও ফুটেজ এটি এবং অবিস্মরণীয় সংগীত :
খাস্তে আয্ রায্মে শাহ্ র্ অশেক্বনে হোসেইনী
خسته از رزم شهر عاشقان حسینی
নগর রণে ক্লান্ত হুসাইনী প্রেমিকরা
শাহ্ সাভরনে ফাত্হ্ ইয়ভারনে খোমেইনী
شهسواران فتح یاوران خمینی
খোমেইনীর সাহায্যকারী হে মহাবিজয়ের অশ্বারোহীরা
বে দমনে এসলাম বে অঘূশে রাহবার খোশ অমাদীদ্
به دامان اسلام به آغوش رهبر خوش آمدید
ইসলামের ক্রোড়ে , মহান নেতার বুকে তোমরা স্বাগতম
বে মাহ্দে দালীরন , বে শাহরে শাহীদন্ বে ইরন্ খোশ অমাদীদ্
به مهد دلیران به شهر شهیدان به ایران خوش آمدید
বীরদের লালনভূমিতে , শহীদদের নগরীতে ইরানে তোমরা স্বাগতম
سالروز ورود آزادگان دلیر به ایران اسلامی خجسته و گرامی باد.
ইসলামী ইরানে মুক্তিপ্রাপ্ত বীর যুদ্ধ বন্ধীদের বিজয়ী বেশে প্রত্যাবর্তন দিবস মুবারক ( বরকতময় ) হোক ।
এই ঐতিহাসিক মূহুর্ত ও শুভ ক্ষণটি প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আমি সেই দিন চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং শহীদ পার্ভার ইরানী জাতির বিরাট বড় বিজয় নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছিলাম যা আমার স্মৃতি পট থেকে কখনো মুছে যাবে না । সে এক বিরল দৃশ্য ছিল যা ভাষায়ও প্রকাশ করা সম্ভব নয় । সেদিন শার্কো ঘার্ব ( প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পরাশক্তি গুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন) , তাদের তল্পীবাহক আরবদেশগুলো ও সাদ্দামের মুখে পরাজয়ের চুনকালি পড়েছিল এবং ইসলামী বিপ্লব , ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, বীর মুজাহিদ ইরানী জাতিকে মহান আল্লাহ ইস্তিকামত ( দৃঢ়পদতা ) , জিহাদ ও শাহাদাতের যথার্থ পুরস্কার দিয়েছিলেন আর তা হল ৮ বছরের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধে ইরানের নৈতিক , মনস্তাত্ত্বিক ও আধ্যাত্মিক বিজয় । এ বিজয় আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় তরবারির ওপর কারবালায় সাইয়েদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইন ( আ ) এবং তাঁর সংগী - সাথীদের রক্তের বিজয়কে ।
যেহেতু ইরানী জাতি ইমাম হুসাইনের (আ) পথ ও পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে সেহেতু মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইহ্দাল হুসনায়াইনের ( দুই সর্বশ্রেষ্ঠ কল্যাণ : শাহাদাত ও বিজয়ের মধ্যে যে কোনো একটি ) যে ওয়াদা ( প্রতিশ্রুতি) দিয়েছেন তা পূর্ণ করেছেন এবং ইরানী জাতিকে উভয় কল্যাণই ( শাহাদাতের সৌভাগ্য ও বিজয় ) দান করেছেন। আর এভাবেই মহান আল্লাহ আল্লাহর রাহে মুজাহিদ সংগ্রামীদের পুরস্কৃত করেন । এর অন্যথা হয় না ।
https://kasbarg.ir/the-rare-anthem-of-azadegans-return-tired-of-the-citys-combat-lovers/rpFF87BxJe